বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রায়পুরে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্তিকরণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত রায়পুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আরও ১ জনের মৃত্যু, নিহত ২, গ্রেফতার ২, বহিষ্কার ১৫ নেতাকর্মী লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক আহত, ঢাকায় পাঠানো হয়েছে লক্ষ্মীপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, হত্যা মামলায় আসামি ২০০ শেখ হাসিনার ভূত এখনো দেশে আছে, এই ভূতের নাম সংবিধান: কবি ফরহাদ মজহার বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত রায়পুরে ফের হামলা, অগ্নিসংযোগ লক্ষ্মীপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত এক , নেপথ্যে দখলদারিত্ব লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা, আহত- ৩ লক্ষ্মীপুরে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা’র ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ এ্যানি’র

বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত রায়পুরে ফের হামলা, অগ্নিসংযোগ

রিপোর্টার / ৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিহত প্রবাসীর স্বজন ও কৃষক দল নেতার অনুসারীরা এ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। আগের দিনে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের বাড়িতে এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে সোমবার উপজেলা উত্তর চরবংশীর খাসেরহাট বাজার এলাকায় স্থানীয় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফ্রান্স ফেরত সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে পাল্টা হামলা চালানো হয়। তবে প্রবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মূল অভিযুক্ত সহোদর ফারুক কবিরাজ, মেহেদী কবিরাজসহ অন্যরা পলাতক। তাদের অনুসারীদেরও এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।

গতকালের হামলা প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মেহেদী কবিরাজ, রুহুল আমিন খাঁ ও আরিফ সরদারের বাড়িতে একযোগে হামলা চালায় কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব শামীম গাজীর অনুসারী ও নিহত সাইজ উদ্দিনের স্বজনরা। তারা তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

রায়পুর থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানিয়েছে, সহিংসতা থামছে না খাসেরহাট এলাকায়। এ কারণে গত দু’দিনের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার সংঘর্ষ ও হত্যায় কোনো মামলা হয়নি। তদন্ত চলছে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এ প্রসঙ্গে কৃষক দল নেতা শামীম গাজী বলেন, ‘সোমবার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়।’ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ অন্যদিকে সোমবারের ঘটনায় অন্যতম হামলাকারী মেহেদী কবিরাজ পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্থানীয় বিএনপির নেতাদের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, চরাঞ্চল ও মাছঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টানাপোড়েন এ সহিংসতার মূল কারণ। রায়পুরে দলটির কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও মাঠ পর্যায়ে বিরোধ থেমে নেই। বারবার তা সহিংস আকারে সামনে আসছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ। পরপর দুই সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। রাজনৈতিক সহিংসতা থামাতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ চাচ্ছেন তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘আমরা সাধারণ মানুষ রাজনীতির বলি হতে চাই না। দ্রুত প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ, দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

লক্ষ্মীপুরখবর//এএইচ


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভস

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০