লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লক্ষ্মীপুরের শিক্ষক দিল আফরোজ আক্তার ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযোগ উঠেছে, সেনা সদস্যরা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে গেলে তাঁর সন্তানরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
গত ২৯ মার্চ ২০২৫, রাত ১০টা ২৭ মিনিটে কয়েকজন সেনা সদস্য হঠাৎ দিল আফরোজের বাড়িতে উপস্থিত হন। সে সময় তিনি বাড়িতে না থাকায় তাঁর সন্তানেরা দরজা খুলে তাদের দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপরে সেনা সদস্যদের ফোন পেয়ে তিনি দ্রুত বাসায় ফিরে আসেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। তবে, তাকে কোনো লিখিত অভিযোগ না দেখিয়ে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে যে, রুবিনা ইয়াসমিন ও তার সহযোগীরা তাঁর জমি নিজেদের দাবি করে এবং রাস্তা ব্লক করার অভিযোগ করেছে।
দিল আফরোজের দাবি, তার স্বামী মো: খোকন আলমই ওই জমির প্রকৃত মালিক এবং এই বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আদালতের পক্ষ থেকে তাদের পক্ষে একাধিক রায় আসে। তিনি এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও সংযুক্ত করেছেন। এছাড়া, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রুবিনা ইয়াসমিনের স্বামী আহম্মদ মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন তাদের কাছ থেকে জমি কেনার জন্য বায়না করেন, যা জমির প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করে।
অভিযোগ রয়েছে, রুবিনা ইয়াসমিন ও তার পরিবারের সদস্যরা সেনা সদস্য মোহাম্মদ মিঠুর (বর্তমানে আফ্রিকায় মিশনে) নাম ব্যবহার করে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এমনকি বিদেশ যাওয়ার আগে মিঠু নিজেও তাদের বাড়িতে এসে হুমকি প্রদান করেছিলেন বলে শিক্ষক দিল আফরোজের দাবি।
এছাড়া, ৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে রুবিনা ইয়াসমিন ও রাশেদা আক্তার বেআইনিভাবে তাদের বাড়ির বাউন্ডারির দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং গেটের তালা কেটে দেয়। এই ঘটনার পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের ভিডিও প্রমাণ তাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
পরিবারটি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও, মামলা রেকর্ড না করে থানা দুই পক্ষকে মীমাংসার জন্য বসার পরামর্শ দেয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায়, দিল আফরোজ ও তাঁর পরিবার তাদের জমি রক্ষার্থে পূর্বের বাউন্ডারির ভেতরে এবং বাহিরে বালু ফেলে।
এরপর, ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে দিল আফরোজের স্বামী ও তার ভাতিজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছে ও দিল আফরোজ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁর পরিবার ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরখবর//এএইচ