সংবাদদাতা: পটুয়াখালীতে একটি ট্রলারে আনা ১৯৫ মণ ইলিশ’সহ অন্য মাছ বিক্রি করেছেন জেলেরা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এক ট্রলারের মাছ বিক্রি করা হয়েছে ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকায়। ইলিশের ব্যাপক এই কারবার দেখে চোখ জুড়িয়েছেন হাজারও মানুষ।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার কলাপাড়া উপজেলা আলীপুর বন্দরের ফাইভ স্টার নামের আড়তে বিসমিল্লাহ-১ নামের একটি ট্রলার মাছগুলো নিয়ে আসে। পরে সেখানেই বিক্রি করা হয়।
ট্রলারের জেলেরা জানান, কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্র থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মাছ বোঝাই ট্রলারটি আলীপুর মৎস্য বন্দর নোঙর করে। শুক্রবার সকালে এ মাছ বিক্রির জন্য আনা হয় ফাইভ স্টার ফিস আড়তে।
তারা জানান, মাছগুলো ধরা হয়েছিল দুই দিন আগে। তাই কিছু মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ ৪০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ২৫ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজ প্রতিমণ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্য সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে ৫৪ হাজার টাকা মণ দরে।
ট্রলার মাঝি একলাস গাজী বলেন, গত ছয় জানুয়ারি ১৭ জন জেলেসহ ট্রলার নিয়ে সাগরে যাত্রা করেন। এবার জাল ফেলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই মাছ ধরা পড়ে। একদিন ধরে জাল থেকে মাছ ছাড়ানোর পর শুক্রবার আলীপুরে বিক্রির জন্য আনা হয়।
ট্রলার মালিক খলিলুর রহমান বলেন, এবার সাগরে মাছ ধরা পড়েছে খুবই কম। বহু ট্রলার মালিক লোকসানের কারণে সাগরে পাঠাচ্ছে না। এক সঙ্গে ৪০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতে পেরে কিছুটা লোকসান কাটিয়ে জেলেদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেছেন, এবার শীত শুরু হওয়ার পর ইলিশ মাছের আমদানি অনেকটা কমে গেছে। তবে জেলেদের জালে অন্য সামুদ্রিক মাছ বেশি ধরা পড়েছে। এক ট্রলারে এতো ইলিশ ধরা এটা আশাবাদী করে তুলবে অন্য জেলেদের।
লক্ষ্মীপুরখবর//এএইচ